Posts

শীতের বিকেল....

Image
শীতের বিকেলের একটা গন্ধ আছে। প্রতিবারই সেই গন্ধ নিয়ে ফিরে আসে শীত । এই গন্ধটা চিরদিন একই রকম থেকে যায়... এই গন্ধটার প্রতি একটা ভালোলাগা আছে। গন্ধটা মনে করিয়ে দেয় ছেলেবেলার বিকেল গুলোকে, যেন আবারও ছুটে চলে যেতে পারি সেই সবুজ ঘাসে। আবার চাইলেই যেন কাঁদতে পারি ছেলেবেলার মতো।  কিন্তু পারি না..  অনেক টা সময় পেরিয়ে গেছে , ইদুর দৌড়ে সামিল হয়েছি। ফিরতে পারি না সেই বিকেল গুলোতে,কান্না পেলেও আর কাঁদতে পারি না আজ। ধীরে ধীরে বিকেল পেরিয়ে সন্ধে নামে;হয়তো সেই সময় পিঠে ব্যাগ নিয়ে হাজির হই টিউশন ব্যাচে। বিকেল পেরোনোর সাথে সাথে কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে গন্ধটা ,হারিয়ে যাচ্ছে ছেলেবেলা..... (চিত্র: সংগৃহীত)

ভালো থেকো ইস্কুল বাড়ি..

Image
১৩ বছরের সম্পর্কের অবসান। এখন পুরোটাই স্মৃতি। ছেলেবেলায় কাঁদতে কাঁদতে যে অজানা বাড়িটায় বাবা প্রথম ছেড়ে দিয়ে গিয়েছিল। সমস্ত ভয় কাটিয়ে সেই বাড়িটাই হয়ে উঠেছিল সবথেকে প্রিয়। এই স্কুলবাড়ি টা হয়তো আর কোনদিন বন্ধু পাতিয়ে দেবে না । স্কুলের উঠোনটা হাতছানি দিয়ে বলবে আর কি দেখা হবে না টিফিন বেলায় , খেলার ক্লাসে কিংবা সরস্বতী পুজোয়। ক্লাসের বেঞ্চগুলোর আজ বড্ড মন খারাপ। হয়তো প্রার্থনা সঙ্গীতের গানটায় থেমে যাবে সুর। ক্লাসরুম,বেঞ্চ, স্কুলের উঠোন, বন্ধুত্ব, রেষারেষি, ফুটবল, হারানো আঙিনা, হারানো সময় ,স্মৃতির বায়োস্কোপে চোখ রেখে মনে পড়ে যায় স্কুল বাড়িটার কথা। চক ডাস্টার, অঙ্কের ক্লাস, বাংলা ক্লাস ,শিক্ষক শিক্ষিকা, রবীন্দ্রজয়ন্তী  শিক্ষক দিবস, রিহার্সাল , বড়ো খবর, মনের দৃষ্টিকোণ, সং বর্তিকা র জন্য আমাদের একসাথে কাজ করা ,ক্রীড়ানুষ্ঠান ,এক্সকার্শন আরো কত কি! হাজার স্মৃতির ভিড়ে চেনা মুখ গুলো হারিয়ে যাবে। কিছু পরিচিত শিক্ষক শিক্ষিকা, বন্ধুত্ব, পাগলামি সব শেষ। স্কুলের ঘরগুলোতে থাকবে না আর কোনো অধিকার , স্কুল ইউনিফর্ম টা পড়ে থাকবে একলা । হয়তো আর কোনোদিন সুতপা ম্যাম বা সম্পূর্...

যিশু ও বড়দিন

Image
২৫শে ডিসেম্বর রাত বারোটা থেকেই গোটা বিশ্ব মেতে ওঠে বড়দিন পালনে। এই দিনটিকে যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি; কেক, উপহার আর শুভকামনায় মেতে ওঠেন সবাই। পবিত্র বাইবেলে যিশুর খ্রিষ্টের যে জন্মকাহিনির বর্ণনা আমরা পাই, সেখানে তাঁর জন্মদিন সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো উল্লেখ নেই! তাহলে কীভাবে এই পৃথিবীতে ২৫ ডিসেম্বর হয়ে উঠল বড়দিন উৎসব পালনের দিন? রোম সাম্রাজ্যের শাসনামলে ইউরোপে সব থেকে বড় উৎসব ছিল তাঁদের কৃষি দেবতা ও শনি গ্রহের সম্মানে এক বিশেষ 'উৎসব'। এই উৎসবটি শীতকালের মাঝামাঝিতে ২৫ ডিসেম্বরের দিকে পালন হতো। ওই সময় রোম সাম্রাজ্যের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকত। সে উৎসবে সবাই ছোট-বড়, ধনী-গরিবের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে যেত কিছুদিনের জন্য। সেই সময় যিশুর অনুসারীরা এই উৎসবকে 'বিধর্মী উৎসব' বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল। যিশুর জন্ম দিন সম্পর্কে তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন না বলে তাঁরা তাঁর পুনরুত্থানের দিনের কাছাকাছি সময়কেই তাঁর জন্মদিন হিসেবে পালন করতে শুরু করেন। তাঁদের কেউ কেউ ৬, ১০ জানুয়ারি আবার কেউ কেউ ১৯, ২০ এপ্রিল আবার কিছু অংশ ২০ মে আবার অনেকেই ১৮ ...

হুদুর দুর্গা

Image
মহিষাসুর হিন্দু পুরাণে বর্ণিত একটি চরিত্র। বিভিন্ন প্রাচীন হিন্দু কাহিনীতে মহিষাসুরকে অপদেবতা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। হিন্দু বাঙালিরা যে সময়ে তাদের সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করেন, সেই সময়েই শোক পালন করে অসুর বংশীয় আদিবাসীরা। তাদের লোককথা অনুযায়ী আর্যদের দেবী দুর্গা এই সময়েই তাদের রাজা মহিষাসুরকে ছলনার মাধ্যমে হত্যা করেছিলেন। রাজাকে হারানোর শোক হাজার হাজার বছর ধরেও ভুলতে পারেননি আদিবাসী সমাজ। 'অসুর' ভারতের একটি বিশেষ আদিবাসী উপজাতি। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড আর বিহার এই তিন রাজ্যের সরকারি তপশিলি উপজাতিদের তালিকার একেবারে প্রথম নামটিই হল অসুর। আদিবাসী সমাজ মনে করেন, দুর্গা আসলে তাদের সম্রাট মহিষাসুরের নাম, যেখানে তিনি পরিচিত হুদুর দুর্গা বলে। এই' হুদুর' শব্দের অর্থ হল ঝঞ্জা, বিদ্যুৎ বা বজ্রের ধ্বনি। এক্ষেত্রে মহিষাসুরের প্রভাব আর শক্তি ছিল বজ্রের মতো। আর দুর্গা শব্দটা দুর্গের রক্ষক, অর্থাৎ রাজাই ছিলেন মহিষাসুর বা হুদুর দুর্গা। আদিবাসী সমাজের লোককথা অনুযায়ী, 'রাজা মহিষাসুরের সময়ে নারীদের অত্যন্ত সম্মান দেওয়া হতো'। তাই এরকম একজন রাজা কোনো নারীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ...